চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের(সিভাসু) জানুয়ারি-জুন ২০২০ সেমিস্টারে এমএস এবং এমপিএইচ প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন আজ বুধবার (১২.০২.২০২০) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল ১১টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
সিভাসু’র মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জান্নাতারা খাতুন, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ এবং ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সমন্বয়ক ড. পংকজ চক্রবর্তী।
এমএস ও এমপিএইচ প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, জীবনে বড় হতে হলে, বড় কিছু অর্জন করতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং এর পেছনে লেগে থাকতে হবে। কাজ করতে হবে। কাজ করে গেলে, কাজের প্রতি আন্তরিকতা (ডেডিকেশন) থাকলে জীবনে সফল হতে পারবেন। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারবেন। কারণ, কোন প্রচেষ্টা বৃথা যায় না।
নবাগত স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের গবেষণা করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সিভাসু’তে গবেষণা করার ভালো একটা পরিবেশ রয়েছে।অত্যাধুকি ল্যাবরেটরি রয়েছে। আপনারা ভালোভাবে গবেষণা করবেন। আইডিয়া শেয়ার করবেন। দেখবেন-কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। মনে রাখবেন, একটা গবেষণা দিয়ে আপনারা ‘হিরো’ হয়ে যেতে পারেন।
প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তৃতায় সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, এমএস ও এমপিএইচ শিক্ষার্থীদের মূল কাজই হলো গবেষণা। আর গবেষণা করতে হবে নিড বেইজড (চাহিদার ভিত্তিতে)। গবেষণার ফলাফল মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলেই বিশ^বিদ্যালয়ের স্বার্থকতা। গবেষণার দ্বারা যাতে দেশের মানুষ সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
জানুয়ারি-জুন ২০২০ সেমিস্টারে এমএস (মাস্টার অব সায়েন্স) কোর্সে ১০১ জন এবং এমপিএইচ (মাস্টার অব পাবলিক হেল্থ) কোর্সে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। উল্লেখ্য, এমপিএইচ কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৮ জন এমবিবিএস, ১ জন ডিভিএম এবং ১ জন বিএসসি (অনার্স) ইন ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিগ্রিধারী।