Students

  Teachers

  Staffs

 

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিভাসু’তে ‘বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৪’ উদযাপন





নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ০৩ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) উদযাপন করা হয়েছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস- ২০২৪’।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রয়, সিদ্ধ ডিম বিতরণ ও আলোচনাসভা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সহযোগিতায় এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

এরপর নাহার এগ্রোর ব্যবস্থাপনায় শুরু হয় সুলভ মূল্যে ডিম বিক্রয় কর্মসূচি। সকাল সাড়ে ১০টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করা হয়। ডিম বিতরণ শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা।

আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভাসু’র পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন, নাহার এগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রকিবুর রহমান (টুটুল), চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন ডেইরি ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এ কে এম হুমায়ুন কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেইরি ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আমাদের ডিমের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ ডিম এমন একটি জিনিস-যা ছাড়া আমরা ভবিষ্যৎ চিন্তাই করতে পারি না। আর ডিমের উৎপাদন বাড়াতে হলে আমাদেরকে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও খামারিদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’ ডিমের বাজারমূল্য এবং খাদ্যের দামের মধ্যে সমন্বয় করা গেলে ডিমের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নাহার এগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রকিবুর রহমান বলেন, দেশে আরও খামারি সৃষ্টি করতে হবে। খামারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। খামারিদের প্রণোদনা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তেরের মাধ্যমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিতে হবে। এতে করে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে। বেকারত্ব হ্রাস পাবে। সেই সাথে ডিমের উৎপাদন ‍বৃদ্ধি পাবে। বাজার স্থিতিশীল হবে।