Students

  Teachers

  Staffs

 

‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ফুড সায়েন্সের গ্র্যাজুয়েটদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান





নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণে ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান।

০৬ জুন ২০০২৪ বৃহস্পতিবার সিভাসু’র ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ২০১৮-২০১৯ এবং ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লেসমেন্ট’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক ফিডব্যাক প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিভাসু’র ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া তেরেঙ্গানু, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, আইসিডিডিআরবি, বিসিএসআইআর গবেষণাগার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে। এই উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদ সকাল ১০টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে ‘ফিডব্যাক প্রোগ্রাম অন ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লেসমেন্ট’ শীর্ষক উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসি আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফিডব্যাক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ-আল-নাহিদ, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর মো: সফিকুল ইসলাম খান, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিন এবং বিসিএসআইআর গবেষণাগার, চট্রগামের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. বরুণ কান্তি সাহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র এপ্লাইড ফুড সায়েন্স ও নিউট্রিশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আয়েশা বেগম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বলেন,‘ আমাদের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রথম হলো খাদ্য। খাদ্য যদি নিরাপদ না হয়-তাহলে আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারি। সুস্থ্যতার জন্য প্রয়োজন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ। আর নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকরণে ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, তোমরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে এবং জুনিয়র অ্যালামনাইদের কাজের সুযোগ করে দিবে। তিনি ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যসমূহ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কিভাবে আরো মডিফাই করা যায়-সেই বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লেসমেন্ট প্রোগ্রামের ওপর প্রেজেন্টেশন দেন জান্নাতুল ফেরদৌসি জেবা, মাইনুল হাসান আকিল এবং জুয়াইরিয়া আবছার অন্ত। যে সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন, অনুষ্ঠানে সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।