Students

  Teachers

  Staffs

 

‘১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অমোচনীয় কলঙ্কের দিন’ সিভাসু’তে শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রফেসর ড. অনুপম সেন





১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অমোচনীয় কলঙ্কের দিন বলে উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

১৫ আগস্ট ২০২২ সোমবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎসবের অনেক দিন রয়েছে, কিন্তু ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অমোচনীয় কলঙ্কের দিন।’

পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলকে অত্যন্ত নির্মম ও নিষ্ঠুর উল্লেখ করে অনুপম সেন বলেন, ‘এই নির্মমতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালিকে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছিলেন, একটি সংবিধান দিয়েছিলেন। মানুষের অধিকারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করা এই মহান ব্যক্তিকে আমরা সপরিবারে নির্মমভাবে খুন হতে দেখলাম। এরকম নির্মম ও নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল।’

সকাল ১০টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ্বাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক তাসনিম ইমাম। পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. ওমর ফারুক মিয়াজী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো: মাসুদুজ্জামান, প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ, অফিসার সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: কামরুল ইসলাম।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সিভাসু কর্তৃক গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, শিক্ষার্থীদের উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং খত্মে কোরআন ও দোয়া মাহফিল।

শোক দিবসের কর্মসূচিগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।