Students

  Teachers

  Staffs

 

সারাবিশ্বে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন সিভাসুর শিক্ষার্থীরা






আজকের পত্রিকা
প্রিয় চট্টগ্রাম
সাক্ষাৎকার : ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ
উপাচার্য, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
দৈনিক সমকাল পত্রিকার হুবহু সাক্ষাৎকারটি নিম্নে তুলে ধরা হলো

ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, উপাচার্য, সিভাসু
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) দেশ-বিদেশে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে চলেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও), আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর'র মতো প্রতিষ্ঠানে সিভাসুর গ্র্যাজুয়েটরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকার মতো উন্নত দেশেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ নিচে তুলে ধরা হলো-

সমকাল : দেশের একমাত্র বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হলেও অনুষদ ও আসন সংখ্যা আশানুরূপ নয় কেন? অনুষদ ও আসন সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কি?

অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ : বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়কে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর সুযোগ থাকলেও একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই সেটা করতে পারে না। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষার্থী ও বিষয়ের সংখ্যা বাড়াতে থাকলে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের আর বিশেষত্ব কী থাকল?

সিভাসু একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সময়োপযোগী বিষয়ে পাঠদান এবং হাতেকলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপযুক্ত গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে চলেছে। সিভাসু'র গ্র্যাজুয়েটরা আজ দেশে-বিদেশে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। হাটহাজারীতে আমাদের রিসার্চ অ্যান্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই ক্যাম্পাসে দুটি টি নতুন অনুষদ, দুটি গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু করা হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অনুষদ দুটি চালু করা যাবে। তা ছাড়া কক্সবাজারের দরিয়ানগরে স্থাপন করা হয়েছে একটি গবেষণা কেন্দ্র। সিভাসু'র উদ্যোগে কাপ্তাই লেকে নির্মাণ করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরী। ঢাকার পূর্বাচলে স্থাপন করা হয়েছে পোষা প্রাণী হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র। এ ধরনের আউটরিচ ক্যাম্পাস বাংলাদেশে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। আমাদের এসব উদ্যোগের একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো গুণগত মানসম্পন্ন ডিগ্রি প্রদান ও আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি।

সমকাল : দেশের ভেটেরিনারিয়ানের চাহিদা কেমন বলে মনে করেন?

অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ : দেশে ও বিদেশে বর্তমানে ভেটেরিনারিয়ানের চাহিদা ব্যাপক। ভেটেরিনারিয়ানরা শুধু প্রাণী সেবা দেন না, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশগত ইস্যু, সংক্রামক ব্যাধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

সমকাল : এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের কি যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান হচ্ছে?

অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ : আমাদের সফলতা এখানেই। আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের কেউ বেকার থাকে না। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নিজেরাই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। নিজেরা উদ্যোক্ত হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হওয়ার আহক্ষান জানিয়েছেন। এর ফলে দেশের বেকারত্ব হ্রাস পাবে। আপনি দেখবেন- গ্রামাঞ্চলে বর্তমানে প্রত্যেক ঘরে ঘরে মা-বোনেরা উন্নতজাতের গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মৎস্য খামার করছেন। এর ফলে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার এসব উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে নগরজীবনে নিয়ে আসছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এসবের পিছনের কারিগর। কিন্তু সিভাসু'র মতো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ গ্র্যাজুয়েটরা। এটি ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে।

সমকাল : বিশেষায়িত ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কোন সমস্যায় পড়তে হয় কিনা? হলে কী রকম?

প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ : বিশেষায়িত ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কোন সমস্যায় পড়তে হয় না, বরং অনেক ক্ষেত্রে আমরা উৎসাহ পেয়ে থাকি। বর্তমান সরকারও এ খাতে বিনিয়োগ বা বরাদ্দ বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। গবেষণার মাধ্যমে আমরা তার প্রতিদান দিতে বদ্ধপরিকর।