১৪-১৫ আগস্ট
২৩ ফেব্রুয়ারী
২৩ জুন
২৭ জানুয়ারি
৪ ডিসেম্বর
৮-১২ মার্চ
স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রবর্তন এবং সংবিধানের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৭ অক্টোবর
২৭ অক্টোবর
৫ ফেব্রুয়ারি
৩ জানুয়ারি
৫ জানুয়ারী
২৩ ফেব্রুয়ারি
৬ জানুয়ারি
৭ জুন
১ মার্চ
২ মার্চ
৭ই মার্চ
২৩ মার্চ
২৫শে মার্চ
২৬ মার্চ
১০ই এপ্রিল
১৭ই এপ্রিল
২০ মে
১০-১৭ জুলাই
১ আগস্ট
১৬ আগস্ট
২১ নভেম্বর
৩ ডিসেম্বর
৬ ডিসেম্বর
১৪ ডিসেম্বর
১৬ ডিসেম্বর
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয়।
পাকিস্তানের বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
২১ মার্চ
পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
২৪ মার্চ
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই একই ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করেন।
আরো পড়ুন
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।
৩১ জানুয়ারি
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
২১ ফেব্রুয়ারী
রাষ্ট্রভাষার দাবীতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী ছাত্রজনতার উপর নৃশংসভাবে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ নাম না জানা অনেকে।
আরো পড়ুন
মূলত চারটি দল আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজাম-ই-ইসলাম এবং (পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খিলাফত ইত্যাদি) মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।
১৯৫৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত পূর্ব বাংলার প্রথম অবাধ ও সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। যুক্তফ্রন্ট আইন পরিষদের মোট ৩০৯টি আসনের মধ্যে এককভাবে ২২৩টি আসন লাভ করে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসন লাভ করে। শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হন এবং ১৫মে নতুন প্রাদেশিক সরকারের সমবায় ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় মালিক ফিরোজ খান নুন এর সংসদীয় সরকারকে উৎখাত করে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন এবং পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহম্মদ আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন।
ইস্কান্দর মির্জাকে বিনা রক্তপাতে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন আইয়ুব খান।
শেখ মুজিবুর রহমান ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবিত ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এই ছয় দফা মুক্তিকামী বাঙালি জাতির জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির বীজ বুনে দেয়, পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের গোড়ায় আঘাত করে। ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ছয় দফার পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি সারা বাংলায় গণসংযোগ
সফর শুরু করেন। এ সময় তাঁকে আটবার গ্রেফতার করা হয় এবং সর্বশেষ ৮ মে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। প্রায় তিন বছর শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ ছিলেন।
আরো পড়ুন
পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামি করে মোট ৩৫ জন বাঙালি সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসাবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।
১৭ জানুয়ারি
বঙ্গবন্ধুকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় জেলগেট থেকে
গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে আটক রাখা হয়। বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত আসামিদের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়।
১৯ জুন
ঢাকা সেনানিবাসে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামীদের বিচারকার্য শুরু হয়।
আরো পড়ুন
৬ দফাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র গণআন্দোলন শুরু হয়। টানা গণআন্দোলনের মুখে আইয়ুব সরকার শেখ মুজিবুর রহমানসহ
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়
আরো পড়ুন
রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল ছাত্র সমাবেশে লাখো শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে
কেন্দ্রীয়
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে।
৫ ডিসেম্বর
সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার নাম
রাখেন
‘বাংলাদেশ’।
বঙ্গবন্ধু পুনরায় আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হন।
রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফার আলোকে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের জন্য তিনি নৌকা প্রতীক বেছে নেন।
১২ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় উপকূল এলাকায় লাখো মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত রেখে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত অঞ্চলে ছুটে যান। ৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় পরিষদের পূর্ব পাকিস্তান অংশে ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮ টি আসনে (সংরক্ষিত ১০ টি নারী আসনসহ) আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।
আরো পড়ুন
এক হটকারী সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার আপামর জনতা।
প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে উত্তোলন করা হয়। উত্তোলন করেন আ স ম আব্দুর রব, তৎকালীন ডাকসুর সহ সভাপতি।
৩ মার্চ
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় পার্লামেন্টারি পার্টিগুলোর নেতাদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান
করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
বিকেলে ছাত্রলীগ সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল ছাত্র জন সভায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ বঙ্গবন্ধুর সামনে পাঠ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার।
আরো পড়ুন
তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণে ‘ঘরে
ঘরে
দুর্গ গড়ে’ তোলার ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম
স্বাধীনতার
সংগ্রাম।”
পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের পতাকার পরিবর্তে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়।
‘অপারেশন সার্চলাইটের’ নামে পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত নৃশংস সেই হামলায় মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে সমগ্র ঢাকা শহর। রাত দশটার দিকে শুরু হয় সেই পরিকল্পিত বর্বর গণহত্যা। পিলখানা, ইপিআর হেডকোয়ার্টার্স, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটে চালানো হয় নির্মম হত্যাযজ্ঞ।
প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে (১২:২০ মিনিটে) পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটকের আগেই শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে একটি তারবার্তা পাঠান। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ৩য় খণ্ডে শেখ মুজিবের এই ঘোষণা উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ২৫শে মার্চে মধ্যরাতের পর অর্থাৎ ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে এ ঘোষণা দেন তিনি। যা তৎকালীন ইপিআর- এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন।
২৭ মার্চ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি পুনরায় পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ একটি বাস্তব রুপ লাভ করে।
আরো পড়ুন
অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়।
মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এই দিন অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। অধ্যাপক ইউসুফ আলী শপথ বাক্য পাঠ করান। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি (পদাধিকার বলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক)। সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি (বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক)। তাজ উদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নিযুন্ত করা হয়।
এম. মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনবার্সন মন্ত্রী এবং খন্দকার মোশতাক আহমেদকে পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর এলাকায় অতর্কিতে হামলা চালিয়ে মুক্তিকামী ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। একদিনে, একটিমাত্র জায়গায় এবং ঠাণ্ডা মাথায় যে বিপুলসংখ্যক মানুষকে হত্যা করা হয়, তার নজির ইতিহাসে খুব বেশি নেই।
সেক্টর কমান্ডারদের এক সম্মেলনে বাংলাদেশের সামরিক কমান্ড তৈরি করা হয়। কর্নেল (অবঃ) মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীকে বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করা হয়। বাংলাদেশকে সর্বমোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে আসা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রতিটি সেক্টরের জন্য একজন করে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়।
নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে প্রায় ৪০,০০০ দর্শকের উপস্থিতিতে সাবেক বিটল্স সঙ্গীতদলের লিড গিটারবাদক জর্জ হ্যারিসন এবং ভারতীয় সেতারবাদক রবিশঙ্কর কর্তৃক সংগঠিত হয় কনসার্ট ফর বাংলাদেশ।
অপারেশন জ্যাকপট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন। এটি ছিল একটি আত্মঘাতি অপারেশন। এ অপারেশন ১৯৭১-এর ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়।
ভারতীয় বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে ‘যৌথ বাহিনী ’ গঠন ।
পাকিস্তান কর্তৃক ভারত আক্রমণ। পাকিস্তানি বিমান থেকে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে এয়ারফিল্ড গুলোতে বোমাবর্ষণ। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ শুরু করে।
ভুটান ও ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে যৌথবাহিনীর আক্রমণের ফলে পাকিস্তানের পরাজয় যখন নিশ্চিত তখন তারা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার নীল নকশা তৈরি করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সাহিত্যিকদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির এ সূর্য সন্তানদের
১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের স্মরণে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।
বিকেল ৪টা বেজে ৩১ মিনিটে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ দলিলে সই করা হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণপত্রে সই করেন জেনারেল নিয়াজি। আর ভারত এবং বাংলাদেশের মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণপত্র গ্রহণ করেন জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা। শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথ চলা।